ফ্রিল্যান্সিং কাজের মুল শক্তি ক্রিয়েটিভিটি। ফ্রিল্যান্সার কতটা ভিন্নভাবে
চিন্তা করতে পারেন, তাকে কাজে পরিনত করতে পারেন তার ওপর নির্ভর করে
সাফল্য। বিভিন্ন কার প্রভাব ফেলে ক্রিয়েটিভির ওপর। সেদিকে দৃষ্টি দিয়ে আরো
বেশি মনোনিবেশ করা যায় কাজে, ক্রমাগত নতুন, উদ্ভাবনী কাজ করা যায়।
যারা ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে অভিজ্ঞ তারা এধরনের বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখেন। ফুল
টাইম ফ্রিল্যান্সার জন ফিলিপ এর দৃষ্টিতে ক্রিয়েটিভি নষ্ট হওয়ার ৫ কারন
এখানে তুলে ধরা হচ্ছে।
. একাধিক দিকে দৃষ্টি দেয়া
ক্রিয়েটিভ
কাজ করার জন্য মনোসংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন। কোন কারনে সেটা বাধাগ্রস্থ
হলে তার প্রভাব পড়ে কাজের ওপর। লেখার সময় যদি ফোনে কথা বলতে হয়, কেউ দরজায়
বেল বাজায় তাহলে অবশ্যব লেখার সুত্র হারায়।
কেউ কেউ বাইরের সবকিছু এড়িয়ে
নিজের মনোযোগ ধরে রাখতে পারেন, সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। কাজেই এধরনের
বিষয়গুলি এড়িয়ে একমাত্র কাজের দিকে মনোনিবেশ করে ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে।
এর
অর্থ অবশ্য এইনা যে কাজের জন্য আপনাকে অন্য সবকিছু বাদ দিতে হবে। বরং কোন
কাজ কোন সময়ে করবেন এধরনের সামান্য নিয়ম ঠিক করে নিলে সবকিছুই ঠিকভাবে করা
সম্ভব।
. কম ঘুম
ফ্রিল্যান্সারদের একটি বড় সুবিধে হচ্ছে
কাজের সময় নিজেই ঠিক করে নেয়া। ফল হিসেবে স্বাভাবিক প্রবনতা দেখা যায় রাতে
কাজ করা কিংবা কম ঘুমানো। অনেকেরই অভিযোগ, রাতে ঘুম হয় না ফলে সকালে উঠতে
দেরী হয়। বিপরীতভাবে দেখলে বিষয়টি হচ্ছে আপনি সকালে দেরীতে ওঠেন বলেই রাতে
ঘুম আসতে দেরী হয়। আর কম ঘুমানোর প্রভাব কাজের মনোযোগে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
ভাল ঘুম শেষে শরীর এবং মন ঝরঝরে থাকে যা ক্রিয়েটিভ কাজে সহায়ক।
. সফল না হওয়ার ভয়
প্রিল্যান্সারদের
মনে এধরনের চিন্তা কাজ করে, করার পর কাজটি ক্লায়েন্টের পছন্দ হবে কি
হবেনা। এধরনের মনোভাব প্রভাব ফেলে। এই মনোভাবকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে
আরো বেশি মনোযোগ দিয়ে ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনাকে
কাজ দেয়ার অর্থ আপনাকে ক্লায়েন্ট পছন্দ করেছে।
. অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা
আপনার
খরচের অর্থ কোথা থেকে আসবে এই নিশ্চয়তা না থাকলে কাজে মনোযোগ দেয়া কঠিন।
বাস্তবতা হচ্ছে আপনি কাজ ঠিকভাবে করলে বেশি উপার্জন করবেন, সেখান থেকে
কিছুটা জমানো সম্ভব। এধরনের চিন্তা শুধুমাত্র ক্ষতিই করতে পারে।
সম্ভব
হলে যে কাজে বেশি অর্থ পাওয়া যাবে সেকাজে হাত দিন। মুল কথা হচ্ছে, আপনি যত
মনোযোগ দিয়ে কাজ করবেন আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি। কাজ বাদে শুধু চিন্তা আপনার
জন্য কিছুই বয়ে আনছে না।
. অতিরিক্ত চাপ
কিছু ক্লায়েন্ট হয়ত
স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি প্রত্যাসা করেন। বিষয়টা অস্বাভাবিক না। তার
অর্থের বিনিময়ে সবচেয়ে ভাল ফল আশা করবেন এটাই স্বাভাবিক। ফলে
ফ্রিল্যান্সারকেও অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়।
কাজ সময়মত দিতে হবে, এই
লক্ষ্য ঠিক রেখে যতটা সম্ভব স্বাভাবিকভাবে কাজ করে যাওয়া বাঞ্ছনীয়। আরেক
পদ্ধতি হচ্ছে হাতে অতিরিক্ত সময় রাখা। যেকাজে ২ সপ্তাহ সময় প্রয়োজন হবে
সেকাজের জন্য ৩ সপ্তাহ সময় ঠিক করুন। ক্লায়েন্ট জানবেন সেটা ৩ সপ্তাহের
কাজ, আপনি হাতে অতিরিক্ত সময় পাবেন।
Home »
» Freelancing tips: ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট হওয়ার ৫ কারন
Freelancing tips: ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট হওয়ার ৫ কারন
Penulis : Unknown on Friday, 19 September 2014 | 20:23
Related posts:
If you enjoyed this article just click here, or subscribe to receive more great content just like it.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post a Comment