এই সাইটে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করাকেই
বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ইন্টারনেট ছাড়াও আপনি ফ্রিল্যান্সার হতে পারেন।
হয়ত ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেও নিজেকে ফ্রিল্যান্সার মনে করছেন না।
আপনি কি চাকরীর বাইরে অন্যকিছু করছেন? কারো কোন কাজ করে দেয়ার বিনিময়ে অর্থ
উপার্জন করছেন। কিংবা চাকরী নেই বলে এর ওপরই নির্ভর করছেন? যদি করে থাকন
তাহলেই নিজেকে ফ্রিল্যান্সার বলতে পারেন।
হয়ত অনেকে অবাক হবেন বাংলাদেশে প্রোগ্রামার, গ্রাফিক ডিজাইনার, এনিমেটর,
ভিডিও এডিটর, নাটক নির্মাতা, অভিনেতা এদের অর্ধিকাংশ পার্টটাইম অথবা ফুল
টাইম ফ্রিল্যান্সার। যখন যেখানে কাজ পান সেখানে কাজ করেন।
ফ্রিল্যান্সারদের
সবসময় নির্দিষ্ট এক অভিজ্ঞতা লাভ করতে হয়, কোন কারনে যার কাজ করছেন তিনি
আপনার বদলে অন্য কারো কাছে গেলেন। এর সবচেয়ে বড় কারন অর্থ বিষয়ক। তিনি
আপনার থেকে কম খরচের কারো কাছে সেবা নিচ্ছে। আপনি ইচ্ছে করলে এই সমস্যা দুর
করতে পারেন।
বিষয়টি অন্যভাবে দেখুন, কেউ চান চলাফেরা করার মত
একটি গাড়ি, কেউ চান প্রয়োজন মেটানোর সাথেসাথে মর্যাদা রক্ষা পায় এমন গাড়ি,
কারো কাছে গাড়ি অন্যকে দেখানো বস্তু। কারো বাজেট ৫ লক্ষ, কারো ১৫ লক্ষ কারো
৫ কোটি। কাজের বিষয়টিও এভাবে ঠিক করে নিন। যিনি ৫ লক্ষ টাকার গাড়ি কিনবেন
তারকাছে ৫ কোটি টাকার গাড়ি বিক্রির চেষ্টা করা বৃথা। আপনি নিশ্চয়ই বিক্রি
করতে হবে একারনে দাম কমিয়ে বিক্রি করতে পারেন না।
আপনার কাজকে অন্তত ৩ ভাগে ভাগ করে নিন।
.
সাধারন কাজ : একেবারে কম টাকায় যে কাজ করা সম্ভব। আপনি কাজের মুল্য
কমাচ্ছেন না, কম অর্থের কারনে সেবার পরিমান কমাচ্ছেন। গ্রাফিক ডিজাইনকে
উদাহরন হিসেবে দেখতে পারেন, আপনি ইচ্ছে করলে দুদিনের কাজ দুঘন্টায় করতে
পারেন। অসামান্য ডিজাইন হবে না আবার কাজ চলবে।
. ভাল কাজ : ডিজাইনের হিসেবে ভাল ডিজাইন বলতে যা বুঝায় সেটাই করবেন। অধিকাংশ সময় এধরনের কাজই আপনি করবেন।
.
অসাধারন কাজ : সাধারন কাজ থেকে অতিরিক্ত চোখে পড়ার মত কাজ। ডিজাইনের
ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিভ ডিজাইন বলতে পারেন। এমন কিছু করবেন যা সৃষ্টিশিলতার
জন্য প্রশংসালাভ করবে। যেখানে অর্থ বিষয় না, কাজটিই বিষয়।
উদাহরন হিসেবে
ডিজাইন উল্লেখ করলেও অন্যান্য কাজেও এই নীতি ব্যবহার করা সম্ভব। তবে
পেশাদার হিসেবে কখনও দায়সারাভাবে কাজ শেষ করবেন না। ক্লায়েন্ট টের পাবে না
একথা ভেবে ফাকি দিতে চেষ্টা করবেন না।
আরেকটি মুলনীতি ঠিক রাখা জরুরী,
ক্লায়েন্টকে ৩টি ভাগের কথা বুঝিয়ে বলুন। তিনি যেটা পছন্দ করবেন সেটা বেছে
নেবেন। সেটা না করে যদি ভালমানের কাজের কথা বলে কাজ নেন এবং কমমানের কাজ
করেন একসময় তিনি সেটা টের পাবেন। আপনি চিরদিনের জন্যই ক্লায়েন্ট হারাবেন।
Home »
» Freelancing tips: ক্লায়েন্ট ধরে রাখার জন্য কি করবেন
Freelancing tips: ক্লায়েন্ট ধরে রাখার জন্য কি করবেন
Penulis : Unknown on Friday, 19 September 2014 | 20:24
Related posts:
If you enjoyed this article just click here, or subscribe to receive more great content just like it.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post a Comment